সালাফে সালিহিন জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তির কথা স্মরণ করে তা থেকে মুক্তির পথ অবলম্বনে মশগুল থাকতেন। এমন আমলে নিজেদের ব্যস্ত রাখতেন, যা জাহান্নাম থেকে নাজাতের কারণ হবে।
আগুন দেখলেই তাদের স্মরণ হতো জাহান্নামের আগুনের ভয়ংকর তীব্রতার কথা।
উমর বিন খাত্তাব রা.-এর সামনে আগুন জ্বালানো হলে তিনি নিজের হাত তার কাছাকাছি করে বললেন, ‘হে খাত্তাবের বেটা, তুমি কি এই আগুনে ধৈর্যধারণ করতে পারবে?’ একদা তিনি একটি বালির টিলার কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় কাঁদতে লাগলেন। তাঁকে বলা হলো, ‘হে আমিরুল মুমিনিন, আপনি কাঁদছেন কেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি জাহান্নামিদের কথা স্মরণ করছি। যদি তারা এই বালির সংখ্যা পরিমাণ সময় জাহান্নামে অবস্থান করত, তবুও তো তাদের একটা আশা থাকত, যার প্রতি তারা উঁকি মেরে তাকাত! কিন্তু তারা সেখানে চিরস্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে অবস্থান করবে।’
এ রকম আরেক সাহাবি আহনাফ বিন কাইস; খুব হিসাব-নিকাশ করে চলতেন তিনি। রাতের বেলা বাতির কাছে এসে নিজের আঙুল তাতে ধরে বলতেন, ‘ধ্বংস! ধ্বংস!’ তারপর বলতেন, ‘তুমি কেন অমুক দিন এই কাজটি করলে? তুমি অমুক দিন কেন এই কাজটি করলে?… প্রিয় ভাই, জাহান্নাম থেকে মুক্তির লক্ষ্যে তার অসীম আজাবের কথা স্মরণ করে আমরা কি এমন ভাবি কখনো?! না, পার্থিব ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে ভুলে থাকি চিরস্থায়ী আখিরাতকেই?!…
Add your review
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Please login to write review!
Looks like there are no reviews yet.